Logo

অপরাধ    >>   শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ নিয়ে বিতর্ক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ নিয়ে বিতর্ক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ নিয়ে বিতর্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সকালে নোটিশ জারি হওয়ার কথা বললেও দুপুরে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে জানান, এ বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য পুলিশের এনসিবি শাখা দেবে।

গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর পর থেকে তাকে দেশে ফেরানোর নানা আইনি পদক্ষেপ চলছে। গত ১৩ নভেম্বর ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজি) কাছে আবেদন করা হয়।

পুলিশ সদরদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে রেড নোটিশ জারির কোনো তথ্য নেই। তবে প্রসিকিউশন বলছে, শুধু শেখ হাসিনা নয়, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও গুমের অভিযোগ রয়েছে। এসব অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতের আশ্রয়ে আছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, রেড নোটিশ জারির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করার বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।"

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

আইনমন্ত্রী ড. আসিফ নজরুল বলেন, "পলাতক আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা হবে।"

অন্যদিকে, ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শনের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, রেড নোটিশ জারি হলে, তা পুলিশের এনসিবি শাখা এবং ইন্টারপোলের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যকর হবে।

শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে।